ফজরের নামাজ বা সালাতুল ফাজ্’র দিয়ে আল্লাহর দিনের শুরু হয়। অনেক ভাই ও বোন এটা নিয়ে সন্দিহান যে ফজরের নামাজ কয় রাকাত বা অনেকেই নতুন মুসলিম হয়েছেন তাদেরও জানার আকাঙ্খা রয়েছে সালাতুল ফাজ্’রের রাকাত সংখ্যা নিয়ে। আমার এই আলোচনার মাধ্যমে আশা করি আপনারা রাকাত সংখ্যার সাথেও অতিরিক্ত কিছু ধারনা পাবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক…
ফজরের নামাজ কয় রাকাত?

সর্বমোট চার রাকাত নিয়ে সালাতুল ফাজ্’র গঠিত, ফজরের নামাজ চার রাকাত কি কি? খুবই সংক্ষেপ, দুই রাকাত সুন্নত এবং দুই রাকাত ফরজ। সুন্নাত দুই রাকাত নিজে পড়তে হয় এবং মসজিদে আদায় করলে ফরজ দুই রাকাত ইমামের সাথে জামাতে আদায় করতে হয়। মসজিদে যেতে অপারগ হলে বাসায় আদায় করে নেওয়া যায় তবে মসজিদে আদায় করা উত্তম। সুবেহ সাদিক থেকে শুরু করে সূর্য উদয়ের পূর্ব মুহূর্ত বা ফর্সা না হওয়া পর্যন্ত ফজরের নামাজ আদায় করা যায়।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত আদায় করতেন। অতঃপর মহিলারা চাদর মুড়ি দিয়ে ঘরে ফিরতেন। কিন্তু অন্ধকারের কারণে তাদেরকে চেনা যেত না।
উক্ত হাদিস স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, ফজরের সালাত অন্ধকারে শেষ হতো। অতএব আবছা অন্ধকার থাকা অবস্থাতেই এটি আদায় করতে হবে।
ফজরের নামাজ সুন্নত আগে না পরে?
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ফজরের পূর্বে দুই রাকাত সালাত পৃথিবী ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছু অপেক্ষা উত্তম
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সালাতের ওপর একটি সালাত বৃদ্ধি করেছেন তা তোমাদের জন্য লাল উটের চেয়ে উত্তম। আর তা হচ্ছে ফজরের পূর্বে দুই রাকাত সুন্নত সালাত
এই হাদিস দুটি লক্ষ্য করলে আমরা খুব সহজেই বুঝে যাব যে ফজরের সালাত দুই রাকাত ফরজের পূর্বে পড়তে হবে এবং এর গুরুত্ব কতখানি সেটাও এই হাদীসের মাধ্যমে স্পষ্ট। সুন্নাত সমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত হচ্ছে ফজরের পূর্বে দুই রাকাত। এ সুন্নাতে কত কল্যাণ আছে তা হিসাব করা মানুষের সাধ্যের বাইরে।
ইক্বামত হয়ে গেলে ফজরের সুন্নত আদায় করা যাবে কি?
কিছু কিছু মানুষকে মসজিদে ইক্বামত শুরু হয়ে যাবার পরেও ফজরের সুন্নাত সালাত আদায় করতে দেখা যায়, অথচ এ আমল সম্পন্ন সুন্নাতের বিপরীত।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন সালাতের ইক্বামত দেওয়া হবে তখন ফরজ সালাত ব্যতীত আর কোন সালাত নেই।
যদি ফরজের পূর্বে সুন্নাত দুই রাকাত আদায় করে নিতে না পারেন তাহলে ফরজ নামাযের শেষে তা আদায় করে নেওয়া যাবে, এ ব্যাপারে স্পষ্ট সহিহ হাদিস রয়েছে।
ক্বায়স ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা ফজরের সালাতের পর এক ব্যক্তিকে দুই রাকাত সালাত আদায় করতে দেখলেন। অতঃপর তিনি বললেন, ফজরের সালাত দুই রাকাত। তখন ওই ব্যক্তি বলল ফজরের পূর্বে দুই রাকাত আদায় করি নি। তাই এখন সেই দুই রাকাত আদায় করলাম। অতঃপর রাসূল সাঃ চুপ থাকলেন।
এই হাদিস প্রমাণ করে ফজরের সুন্নত আগে পড়তে না পারলে সালাতের পরে তা পরে নেওয়াই সুন্নাত।
সারসংক্ষেপ
আশা করি এই সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে আপনারা কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন যে, ফজরের নামাজ ফরজ কয় রাকাত ও সুন্নাত কয় রাকাত। আমরা কিছু সহীহ হাদিস সামনে রেখে আলোচনা করেছি, জাল বা যঈফ কোন হাদীস নিয়ে কথা বলা হয়নি। আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুক এবং সময়মতো আমাদের ফজরের সালাত আদায় করার তৌফিক দান করুক এই প্রত্যাশা রেখে আজকের আলোচনা শেষ করছি, আসসালামু আলাইকুম।
জাজাকাল্লাহ খাইর, ভাই আপনার বক্তব্য গুলো অনেক গুছালো বা গুছিয়ে বলাটা অসাধারণ, আল্লাহ কাছে আপনার
মঙ্গল কামণা করছি🤲🤲🤲। ভাই আমার একটা প্রশ্ন ছিল যদি উত্তর দিতেন অনেক উপকার হত,,আমি ফ্রিলান্সিং করতে চাই, আসলে কি ফ্রিলান্সিং এ কাজ করে টাকা ইনকাম করা হারাম বা হালাল,,একটু বুঝিয়ে যদি বলতেন,,?? আমি ফ্রিলান্সার শিখতে চাই এবং কাজ করতে চাই,,, কিন্তু আসলে বুঝতে পারছি না যে হালাল না হারাম,,,,??আর যদি বলতেন কোন বিষয় গুলো হালাল, আমি সেই বিষয়ের উপর কোস করতাম,,??ইনসাআল্লাহ আশা করি উত্তর পাবো
এইখানে সব রকম কাজ করারই সুযোগ রয়েছে। ইসলাম যেটাকে হারাম বলেছে এই রকম পেশা বাদে আপনি সব কাজই করতে পারেন। তবে আমি আপনাকে কিছু ধারণা দিতে পারি;
– ডাটা এন্ট্রি
– সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন
– এফিলিয়েট মার্কেটিং
– ব্লগিং
– ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
– ওয়ার্ডপ্রেস থিম & প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট
– গুগল & ফেইসবুক অ্যাড ম্যানেজমেন্ট
– এন্ড্রোইড এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
এই গুলার মধ্যে থেকে আপনার ইন্টারেস্ট অনুযায়ী কাজ শিখতে পারেন।