• Skip to main content
  • Skip to secondary menu
  • Skip to primary sidebar
  • ফুটার এ চলে যান

আলোর সন্ধান

দেখব এবার জগৎ টাকে

  • নামাজ
  • দোয়া ও জিকির
  • ইতিহাস
  • জীবনী
  • স্বাস্থ্য

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ এর ফজিলতের সঠিক বর্ণনা।

মে 13, 2021 by হিমেল মুন্সী

আয়াতুল কুরসি পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় এবং সব থেকে বড় সূরা আল-বাক্বারার ২৫৫ তম আয়াত। এটি কোরআনের সব থেকে প্রসিদ্ধ আয়াত এবং বিভিন্ন আলেমগন একে সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত হিসাবে মান্য করেন। এই আয়াতটিতে সমগ্র মহাবিশ্বের উপর আল্লাহের একক এবং জোরাল ক্ষমতার ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আয়াতুল কুরসি দুষ্টু আত্মা (জিন) দূর করার জন্য সব থেকে শক্তিশালী একটি আয়াত।

অনেকেই আরবি জানেন না, তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলে আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ আয়াতুল কুরসির ফজিলত সঠিক ভাবে তুলে ধরার করবো ইনশাআল্লাহ।

আয়াতুল কুরসি আরবি

اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ
لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ
لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ
مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ
يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ
وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء
وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ
وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا
وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيم

আল-বাক্বারার – ২৫৫

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ – Ayatul Kursi Bangla

আল্লাহু লা— ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্কাইয়্যুম,

লা- তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম।

লাহু মা ফিসসামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্।

মান যাল্লাযী ইয়াশ ফাউ ইনদাহু— ইল্লা বি ইজনিহ,

ইয়া লামু মা বাইনা- আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম,

ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি— ইল্লা বিমা শা’—-আ,

ওয়াসিয়া কুরসি ইউহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ,

ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা

ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আযী-ম।

যে কথাটা না বললেই নয়, বাংলা ভাষা দিয়ে ১০০% শুদ্ধ আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের পরামর্শ থাকবে আপনি অত্যন্ত সহজ ভাষা “আরবি” অতি সিগ্রই শিখে ফেলুন। কারন কোরআনের মদ্ধেই আল্লাহ সকল নেয়ামত রেখেছে, আমাদের এই নেয়ামত ভোগ করতে হলে অবশ্যই নিয়মিত কোরআন পাঠ করতে হবে।

আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থ

আল্লাহ,তিনি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক।

তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়।

আকাশ ও ভূমিতে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর।

কে আছে এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তার অনুমতি ছাড়া?

দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন।

তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু তা ব্যতীত – যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন।

তাঁর আসন সমস্ত আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে।

আর সেগুলোকে ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়।

তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান

আয়াতুল কুরসির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ও এই আয়াতে আল্লাহের গুন।  

প্রথমেই বলা হয়েছে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ, উপাস্য বা ইবাদাতের যোগ্য কেউ নেই। এরপর আল্লাহর গুণাবলি বর্ণনা হয়েছে। اَلْـحَيُّ  এই শব্দের মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, তিনি সর্বদা জীবিত, তিনি অমর। قَيُّوْمُ এই শব্দের অর্থ হচ্ছে, তিনি নিজে বিদ্যমান থেকে অন্যকেও বিদ্যমান রাখেন এবং এই মহাবিশ্বের সব কিছু তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন।

তারপর বলা হয়েছে, তাকে তন্দ্রা (ঘুমের প্রাথমিক প্রভাব বা ক্লান্তি) ও নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। অর্থাৎ মহাবিশ্বের সকল বিষয়ের নিয়ন্ত্রণ তাকে ক্লান্ত করে না। অতএব তিনি সর্বক্ষণ আসমান জমিনের সব কিছু তদারকি করেন, তাকে ফাঁকি দেওয়ার মত কোন সুযোগ নেই।

পরের অংশ থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহ আকাশ এবং জমিনের সবকিছুর মালিক এবং তিনি যা কিছু করেন, তাতে কারো আপত্তি করার অধিকার বা কোন সুযোগ নেই।

তার অনুমতি ছাড়া তার কাছে সুপারিশ করার ক্ষমতাও আসমান জমিনের কারো নেই। আসমান জমিনের সব কিছুই একমাত্র আল্লাহের প্রশংসা করে।

আল্লাহ অগ্র-পশ্চাৎ যাবতীয় অবস্থা ও ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন। অগ্র-পশ্চাৎ বলতে এ অর্থ হতে পারে যে, তাদের জন্মের পূর্বের ও জন্মের পরের যাবতীয় অবস্থা ও ঘটনাবলি আল্লাহ জানেন। আবার এ অর্থও হতে পারে যে, অগ্র বলতে মানুষের কাছে প্রকাশ্য, আর পশ্চাত বলতে বোঝানো হয়েছে যা মানুষের কাছে অপ্রকাশ্য বা গোপন। আল্লাহ সব কিছুই জানেন, তিনি অন্তরজামি। 

আল্লাহ যাকে যে পরিমাণ জ্ঞান দান করেন সে শুধু ততটুকুই পায়। আমরা অনেক কিছুতেই বারাবারি করে ফেলি অনেক সময়, যেমন বলে থাকি আল্লাহ সবাইকেই সমান জ্ঞান দিয়েছে কেউ চর্চা করে না তাই তার জ্ঞান কম। এই আয়াত থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ যে আল্লাহ সবাইকে সমান ভাবে জ্ঞান দান করেন নি। যাকে যে পরিমাণ করেছে সে ততটুকুই পায়। এটা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করার কোন সুযোগ নেই, কারন সবার জ্ঞানের পরিধি যদি এক রকম হত তাহলে বিশ্বের সকল মানুষ এক চিন্তার অধিকারী হত এবং বিশ্বে এক জিনিস ছাড়া অন্য কোন কিছু আবিস্কার হতো না।

পরের অংশে বলা হয়েছে তার আরশ ও কুরসি এত বড় যে, তা সমগ্র আকাশ ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে রেখেছে। এ দুটি বৃহৎ সৃষ্টি এবং আসমান ও জমিনের রক্ষণাবেক্ষণ করা তার জন্য অত্যন্ত সহজ। অতএব এথেকে বুঝা যায় আসমান জমিনের সকল কিছুই আল্লাহ রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। আল্লাহ কোন কিছু রক্ষা না করলে আমরা হাজার চেষ্টা করেউ সেটা রক্ষা করতে পারবো না।

শেষ অংশে আল্লাহকে “সুউচ্চ সুমহান” বলা হয়েছে। তার সমতুল্য বা সমকক্ষ কেও নেই, তিনি এক ও অদ্বিতীয়, তার কোন শরীক নেই।

আয়াতুল কুরসির ফজিলত কি কি

ayatul kursi bangla

আয়াতুল কুরসির উপকারিতা বলে শেষ করার মত না। রাসুল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশ কিছু আয়াতুল কুরসির ফজিলত বর্ণনা করেছেন। আমরা এখানে সহীহ হাদিসের দলিল সহ আয়াতুল কুরসির গুনাগুন গুলো বর্ণনা করবো ইনশাআল্লাহ।

আবু উমামা থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়ে, তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না।
(নাসাঈ কুবরা ৯৯২৮, ত্বাবারানী ৭৫৩২, সহীহুল জামে ৬৪৬৪)
আবু উমামা থেকে বর্ণিতহজরত আলী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি- যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পাঠ করে, তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শোবার সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে, প্রতিবেশীর ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন।
(সুনানে বাইহাকী)
উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি আবার বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম, “আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম” (আয়াতুল কুরসী)। তখন তিনি আমার বুকে (হালকা) আঘাত করে বলেনঃ হে আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক।
(সুনানে আবু দাউদ ১৪৬০)
শয়নকালে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাজতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযুক্ত থাকে। যাতে শয়তান তার নিকটবর্তী হতে না পারে। (বুখারি) হযরত আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত: রাসুল (সা.) বলেছেন: সুরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে।
(মুস্তাদরাকে হাকিম:২১০৩)
আবূ হুরাইরাহ (রাযিয়াল্লা-হু ‘আনহু) বলেছেন, রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, সূরা আল বাক্বারায় এমন একটি আয়াত রয়েছে যা কুরআনের অন্য সব আয়াতের সর্দার বা নেতা। সে আয়াতটি যে ঘরে পড়া হয়, তা থেকে শয়তান বেরিয়ে যায়।
(তাফসীর মা আরেফুল কুরআন-১ম খণ্ড, পৃ: ৬৭৬)
উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত:নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আল্লাহর কসম! যার হাতে আঁমার প্রাণ আয়াতুল কুরসীর একটি জিহবা ও দুটি ঠোট রয়েছে এটি আরশের পায়ার কাছে আল্লাহর প্রশংসা করতে থাকে।
(মুসনাদে আহমদ: ২১৬০২)
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে রমাযানের যাকাত হিফাযত করার দায়িত্বে নিযুক্ত করলেন। এক ব্যক্তি এসে আঞ্জলা ভর্তি করে খাদ্য সামগ্রী নিতে লাগল। আমি তাকে পাকড়াও করলাম এবং বললাম, আল্লাহর কসম! আমি তোমাকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে উপস্থিত করব। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দিন। আমি খুব অভাবগ্রস্ত, আমার যিম্মায় পরিবারের দায়িত্ব রয়েছে এবং আমার প্রয়োজন তীব্র। তিনি বললেন, আমি ছেড়ে দিলাম। যখন সকাল হলো, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আবূ হুরাইরা, তোমার রাতের বন্দী কি করলে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে তার তীব্র অভাব ও পরিবার, পরিজনের কথা বলায় তার প্রতি আমার দয়া হয়, তাই তাকে আমি ছেড়ে দিয়েছি। তিনি বললেন, সাবধান! সে তোমার কাছে মিথ্যা বলেছে এবং সে আবার আসবে। ‘সে আবার আসবে’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এ উক্তির কারণে আমি বুঝতে পারলাম যে, সে পুনরায় আসবে। কাজেই আমি তার অপেক্ষায় থাকলাম। সে এল এবং অঞ্জলি ভরে খাদ্র সামগ্রী নিতে লাগল। আমি ধরে ফেললাম এবং বললাম, আমি তোমাকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে নিয়ে যাব। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দিন। কেননা, আমি খুবই দরিদ্র এবং আমার উপর পরিবার-পরিজনের দায়িত্ব ন্যস্ত, আমি আর আসব না। তার প্রতি আমার দয়া হল এবং আমি তাকে ছেড়ে দিলাম। সকাল হলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আবূ হুরাইরাহ! তোমার বন্দী কী করল? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে তার তীব্র প্রয়োজন এবং পরিবার-পরিজনের কথা বলায় তার প্রতি আমার দয়া হয়। তাই আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি বললেন, খবরদার সে তোমার কাছে মিথ্যা বলেছে এবং সে আবার আসবে। তাই আমি তৃতীয়বার তার অপেক্ষায় রইলাম। সে আবার আসল এবং অঞ্জলি ভর্তি করে খাদ্য সামগ্রী নিতে লাগল। আমি তাকে পাকড়াও করলাম এবং বললাম, আমি তোমাকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে অবশ্যই নিয়ে যাব। এ হলো তিনবারের শেষবার। তুমি প্রত্যেকবার বল যে, আর আসবে না, কিন্তু আবার আস। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দাও। আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শিখিয়ে দেব। যা দিয়ে আল্লাহ তোমাকে উপকৃত করবেন। আমি বললাম, সেটা কী? সে বলল, যখন তুমি রাতে শয্যায় যাবে তখন আয়াতুল কুরসী (আল্লাহু লা— ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্কাইয়্যুম)  আয়াতের শেষ পর্যন্ত পড়বে। তখন আল্লাহর তরফ হতে তোমার জন্যে একজন রক্ষক নিযুক্ত হবে এবং ভোর পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না। কাজেই তাকে আমি ছেড়ে দিলাম। ভোর হলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, গত রাতের তোমার বন্দী কী করল? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে আমাকে বলল যে, সে আমাকে কয়েকটি বাক্য শিক্ষা দেবে যা দিয়ে আল্লাহ আমাকে লাভবান করবেন। তাই আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি আমাকে বললেন, এই বাক্যগুলো কী? আমি বললাম, সে আমাকে বলল, যখন তুমি তোমার বিছানায় শুতে যাবে তখন আয়াতুল কুরসী(আল্লাহু লা— ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্কাইয়্যুম )  প্রথম হতে আয়াতের শেষ পর্যন্ত পড়বে এবং সে আমাকে বলল, এতে আল্লাহর তরফ হতে তোমার জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত থাকবেন এবং ভোর পর্যন্ত তোমার নিকট কোন শয়তান আসতে পারবে না। সাহাবায়ে কিরাম কল্যাণের জন্য বিশেষ লালায়িত ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, এ কথাটি তো সে তোমাকে সত্য বলেছে। কিন্তু হুশিয়ার, সে মিথ্যুক। হে আবূ হুরাইরাহ! তুমি কি জান, তিন রাত ধরে তুমি কার সাথে কথাবার্তা বলেছিলে। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বললেন, না। তিনি বললেন, সে ছিল শয়তান।
(সহীহ বুখারী নং ২৩১১)

সারসংক্ষেপ

এই আলোচনা থেকে আমরা পড়তে সক্ষম হয়েছি আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ এবং কিছুটা হলেও ধারনা পেয়েছি যে, আয়াতুল কুরসি পবিত্র কোরআনের সব থেকে ফিজিলত পূর্ণ একটি আয়াত। যার সাহাজ্জে আমরা জিন জাতি সহ দুনিয়ার বালা মসিবত থেকে বেছে থাকতে পারি। এবং প্রতি ফরজ নামাজের শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠে আমাদের জান্নাতে যাওয়ার মদ্ধে মৃত্যু ছাড়া আর কোন বাধা থাকবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি করে আমল করার তাউফিক দান করুন, আমিন। এই পোস্টটি আপনার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান থাকলো। এই ইসলামের দাওয়াত আমাদের কেয়ামতের ময়দানে সন্মানিত করবে, ইনশাআল্লাহ।

Filed Under: দোয়া ও জিকির Tagged With: আয়াতুল কুরসি, আল কোরআন, কোরআন মাজীদ

About হিমেল মুন্সী

আমি মুলত ধর্ম এবং ইতিহাস নিয়ে চর্চা করতে ভালবাসি। এই ভালবাসার জায়গা থেকেই আলোর সন্ধান এর যাত্রা শুরু করেছি, যেখান থেকে মানুষের নিকট ইসলাম ও এর ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করে যাব ইনশাআল্লাহ। আপনাদের দোয়া এবং সহযোগিতা কামনা করছি...

Reader Interactions

Comments

  1. মাইদুল ইসলাম says

    সেপ্টেম্বর 10, 2021 at 7:12 অপরাহ্ন

    Masha Allah ami khub upokrito hoyechi আল্লাহর দয়ায়

    জবাব
    • হিমেল মুন্সী says

      সেপ্টেম্বর 11, 2021 at 6:19 পূর্বাহ্ন

      জাযাকাল্লাহ

      জবাব
  2. ওয়াসিউজ্জামান খান says

    অক্টোবর 28, 2021 at 6:13 পূর্বাহ্ন

    আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই।

    জবাব
    • হিমেল মুন্সী says

      অক্টোবর 31, 2021 at 3:52 অপরাহ্ন

      সুবহানআল্লাহ

      জবাব
  3. MD.Bellal Khan says

    নভেম্বর 19, 2021 at 6:23 পূর্বাহ্ন

    আলহামদুলিল্লাহ

    জবাব
  4. mss says

    মার্চ 18, 2022 at 2:18 পূর্বাহ্ন

    allhamdulillah.khub valo.

    জবাব
    • হিমেল মুন্সী says

      মার্চ 18, 2022 at 11:20 পূর্বাহ্ন

      জাযাকাল্লাহ

      জবাব
  5. jaman says

    এপ্রিল 3, 2022 at 2:35 পূর্বাহ্ন

    marsh allah onek valo hoice

    জবাব
    • হিমেল মুন্সী says

      এপ্রিল 5, 2022 at 6:43 পূর্বাহ্ন

      জাযাকাল্লাহ

      জবাব
  6. md raj says

    এপ্রিল 11, 2022 at 1:49 অপরাহ্ন

    আলহামদুলিল্লাহ

    জবাব
    • হিমেল মুন্সী says

      এপ্রিল 15, 2022 at 5:19 অপরাহ্ন

      জাযাকাল্লাহ

      জবাব
  7. শরিফুল says

    এপ্রিল 28, 2022 at 9:15 পূর্বাহ্ন

    মাশাআল্লাহ ❤️

    জবাব
    • হিমেল মুন্সী says

      এপ্রিল 29, 2022 at 10:17 পূর্বাহ্ন

      জাযাকাল্লাহ

      জবাব
  8. নুরনবী says

    জুলাই 31, 2022 at 7:21 অপরাহ্ন

    আলহামদুলিল্লাহ 🖤🥀

    জবাব
    • হিমেল মুন্সী says

      আগস্ট 9, 2022 at 5:42 অপরাহ্ন

      আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

      জবাব
  9. imran says

    আগস্ট 2, 2022 at 3:21 পূর্বাহ্ন

    মাশাআল্লাহ ❤️ onek sundor

    জবাব
    • হিমেল মুন্সী says

      আগস্ট 9, 2022 at 5:41 অপরাহ্ন

      জাযাকাল্লাহ

      জবাব
  10. রফিকুল ইসলাম says

    সেপ্টেম্বর 13, 2022 at 5:01 অপরাহ্ন

    আলহামদুলিল্লাহ।

    জবাব
    • হিমেল মুন্সী says

      সেপ্টেম্বর 20, 2022 at 7:31 অপরাহ্ন

      আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

      জবাব
  11. সাব্বির says

    জানুয়ারী 5, 2023 at 6:02 পূর্বাহ্ন

    ধন্যবাদ আলহামদুলিল্লাহ

    জবাব
    • হিমেল মুন্সী says

      জানুয়ারী 22, 2023 at 7:05 অপরাহ্ন

      জাযাকাল্লাহ

      জবাব

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Primary Sidebar

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

বদর যুদ্ধের ইতিহাস

বদর যুদ্ধ: কারণ, ফলাফল ও সঠিক ইতিহাস – আলোর সন্ধান

মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা

মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা – আলোর সন্ধান

ফজরের নামাজের নিয়ত

ফজরের নামাজের নিয়ত করার সঠিক পদ্ধতি – আলোর সন্ধান

ফজরের নামাজের উত্তম সময়

ফজরের নামাজের উত্তম সময় – একাধিক সহীহ হাদীসের পর্যালোচনা

আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ

শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এর জীবনী – আলোর সন্ধান

Footer

আমাদের সম্পর্কে জানুন

বর্তমানে মানুষ ইন্টারনেটে সময় বেশি কাটাতে পছন্দ করে, বই পড়ার প্রতি অনেকেরই অনিহা। তাই আমি চিন্তা করলাম আল্লাহের দেওয়া পরিপূর্ণ জীবন বিধান, আল-কোরআনের আলো যদি তাদের নিকট পৌঁছে দিতে পারি তাহলে কিছুটা হলেও নিজের অন্তরে প্রশান্তি পাবে।

অনুসন্ধান

গুরুত্বপূর্ণ পেজ

  • গোপনীয়তা নীতি
  • আমাদের সম্পর্কে

© 2023 আলোর সন্ধান - সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত